কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট এলাকার সিতাংশ লাল দত্ত(৪৫)। ঘরে অসুস্থ্য সন্তানের জন্য ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় সন্তানের জন্য ঔষধ কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে, র্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প, কারাগারে ও থানায় খোঁজ করেও স্বামীকে না পেয়ে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন তার স্ত্রী মনিবালা দত্ত(৪২)।
স্থানীয় লোকজনের নানামুখী খবরে আতঙ্কিত হয়ে স্বামীর সন্ধানে দুটি শিশু সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী মনিবালা দত্ত। ৮ নভেম্বর দুপুরে কমলগঞ্জ থানায় করা জিডির কপি ও স্বামীর ছবি নিয়ে এসে বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় তার শিশু সন্তানের জন্য ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনতে তার স্বামী সিতাংশ লাল দত্ত চৈত্রঘাট বাজারে গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। এলাকার লোকজন অনেকেই তাকে বলেছেন রোববার চৈত্রঘাটে ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যা কান্ডের পর র্যাব সদস্যরা রাতে এখানে টহল দিচ্ছিল।
রাতে সিতাংশকে পেয়ে র্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে। এ খবরে তিনি শ্রীমঙ্গলস্থ র্যাব-৯ ক্যাম্পে গিয়ে খোঁজ করলে র্যাব সদস্যরা জানিয়েছেন এ নামে কোন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে নেই এবং এই নামের কাউকে র্যাব আটক করেনি। তিনি মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে ও কমলগঞ্জ থানায় খোঁজ নিয়েও স্বাামীর কোন সন্ধ্যান পাননি।
তিনি আরও বলেন. এলাকাবাসীর নানামুখী কথায় তিনি আতঙ্খিত যে, ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যায় তাকে আবার কোন সংস্থা ধরে নিয়ে গেল কিনা ? স্বামীর মুঠোফোনে (০১৭৪০৩০৮৫৯১) ফোন দিলে রিং হলেও কেই ফোন ধরছে না। তিনি একজন অতি সাধারণ মানুষ । স্থানীয় ঝামেলায় তিনি কখনও জড়িত ছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে রোববার কমলগঞ্জ থানায় স্বামী নিখোঁজের জিডি করেছেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা কমলগঞ্জ থানায় সিতাংশ লাল দত্তের নিখোঁজের জিডি গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দেখছে।
এবিএ/০৮ নভেম্বর